ঈশ্বরদী উপজেলার সর্বত্র চর জুড়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের অবাধ প্রতিযোগিতা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈশ্বরদী,পাবনা
ঈশ্বরদী,পাবনা
প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, যেন তারা ‘জোর যার, মুল্লুক তার’ নীতিই অনুসরণ করছে। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে চরম সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এতেই ক্ষতির মুখে পড়ছেন সাধারণ কৃষকরা। তাদের আবাদি জমি নির্বিচারে কেটে নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে শত শত একর উর্বর কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অভিজ্ঞজনদের মতে, এই অব্যাহত অনিয়ম ও লুটপাট যদি থামানো না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসা অনিবার্য।
এছাড়াও নিয়মিত মাটি কাটার ফলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পদ্মা নদী। এবং শত শত মাটিবাহী ট্রাকের অনবরত চলাচলের ফলে চারপাশ ভারী শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে, যা পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে এলাকার সড়কে এক্সিডেন্টও হচ্ছে অহরহ।
বিশেষ করে পাকশী সাহাপুর ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ভার ও অবিরাম চাপের কারণে রাস্তার কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ধীরে ধীরে ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে যানবাহন চলাচলে আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ধুলাবালির কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথযাত্রীরা,ও বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ- মাদ্রাসা- সবকিছুই যেন ধুলাই ঢাকা।
ক্ষমতার পালাবদলে রক্ষক থেকে ভক্ষক হয়ে উঠে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি এখনই প্রশাসন দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত না করে তাহলে ভবিষ্যতে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। যার দুর্ভোগ গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। তাই দ্রুত তাদেরকে প্রতিহত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
0 Comments