ঈমান রক্ষায় ও সুস্থ রুচিবোধ বজায় রাখতে—হিন্দুদের প্রস্তুতকৃত খাদ্য বর্জন করুন!

মুসলমানদের জন্য ঈমান হলো সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সেই ঈমান রক্ষা এবং পবিত্রতা বজায় রাখতে ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে সচেতনতা অপরিহার্য। বর্তমান সময়ে এমন কিছু খাবার বাজারে প্রচলিত, যা তৈরি হয় এমন সম্প্রদায়ের দ্বারা, যারা অনেক সময় নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসে গো-মূত্র ও গোবরের ব্যবহার করে থাকে—এমনকি খাদ্য প্রস্তুতেও।এখন তারা পরিকল্পিত ভাবেও খাবারে গো-মূত্র ও গোবর মিশায়। এমন বাস্তবতায় মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের প্রস্তুতকৃত খাবার থেকে বিরত থাকা কেবল রুচির বিষয় নয়, বরং ঈমান ও আত্মিক পবিত্রতা রক্ষার অপরিহার্য দাবি।

একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা
আল্লামা মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি (রহ.) তাঁর জীবনের একটি বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেন:
“আমি গুজরাটের রান্দের এলাকায় থাকতাম। ফজরের পর নিয়মিত হাঁটতে বের হতাম। একটি হিন্দু দোকানে পান খেতে যেতাম। একদিন দূর থেকে দেখলাম, গাভীটি যখন দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, দোকানদার লোটা হাতে দৌড়ে গিয়ে গাভীর পেছনে চাপ দিয়ে প্রস্রাব সংগ্রহ করল। এরপর সেটিতে পান বানানোর চুন ও খয়ার মিশ্রণ করল এবং বাকি প্রস্রাব দোকানে ছিটিয়ে দিল। সেদিন থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছি—হিন্দুর দোকান থেকে কোনো তরল খাবার গ্রহণ করব না। কারণ যে সম্প্রদায়ের কাছে প্রস্রাব পবিত্র, তারা যে তা কোথায় কোথায় ব্যবহার করছে, তা আমাদের জানা নেই।”
(তুহফাতুল আলমায়ি, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৪৪-১৪৫)

বাস্তবতা ও পর্যবেক্ষণ
অনেকেই ব্যক্তি জীবনে হিন্দুদের বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গো-মূত্র ও গোবর ছিটাতে দেখেছেন। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসে এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়, কিন্তু ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে এগুলো অপবিত্র। তাই এ ধরনের উপাদান যুক্ত খাদ্য গ্রহণ মুসলমানদের জন্য শুধু অরুচিকর নয়, বরং ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সতর্ক হোন খাদ্য বাছাইয়ে
তরল পানীয়, প্রসেসড খাবার বা রেডি-টু-ইট পণ্য কেনার সময় উৎপাদক বা মালিকানা সম্পর্কে জানুন।

*নিজস্ব হালাল উৎস গড়ে তুলুন*
হালাল খাদ্য উৎপাদকদের উৎসাহ দিন ও মুসলমান মালিকানাধীন ব্র্যান্ড ব্যবহার করুন।

*সচেতনতা ছড়িয়ে দিন*
পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে এই বিষয়ে আলোচনা করুন, যেন সবাই ঈমান রক্ষায় সতর্ক হতে পারে।
উপসংহার
যে সমাজে ধর্মীয় বিশ্বাসের আড়ালে অপবিত্রতা পবিত্র বলে প্রচার পায়, সেখানে খাবার ও জীবনের প্রতিটি উপাদান নিয়ে সচেতন না হলে ঈমানের ওপর বড় বিপদ নেমে আসতে পারে। তাই আজই সিদ্ধান্ত নিন— করণীয়
আপনার ঈমান ও রুচির নিরাপত্তায় হিন্দুদের প্রস্তুতকৃত খাদ্য থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।