Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধকরণের আন্দোলনে কেন আসবেন?

 


আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধকরণের আন্দোলনে কেন আসবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর নাবিলার লেখায়। গুম কমিশনের নাবিলা ইদ্রিস লিখেন..

"আমার কাছে এমন একজন নারী এসেছিলেন যাকে তার ছয় বছরের সন্তানসহ কিডন্যাপ করা হয়। বয়স কম হওয়ার কারণে বাচ্চাটি পুরো ঘটনার ভয়াবহতা বুঝে উঠতে পারেনি, যদিও আম্মুকে যে টুপি পরিয়ে নিয়ে যেত এবং ফেরার পর যে আম্মুর অনেক ব্যাথা লাগত এইটা ও মনে রেখেছে।
.

একজন নারী বলেছিলেন তার স্বামী একদিন সকালে সে-ই যে বেরিয়ে যান আর কখনও ফেরেননি - নির্ঘাত তাকে মেরে ফেলা হয়। এদিকে সেদিন রাতে ভদ্রমহিলাকে তার দেড় ও তিন বছরের সন্তানসহ গুম করা হয়। তিনি তখন গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও একজন পুরুষ অফিসার তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন।

আরেকজন মহিলা বলেন তাকে দিনের পর দিন দাঁড় করিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে রাখার সময় তার ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ অফিসাররা উপহাস করে বলে- “খুব তো পর্দা করত, এখন তো গায়ে একটা ওড়নাও নাই”
.

আরেকজন মেয়ে নিকাব খুলতে অস্বীকার করায় তাকে তিনদিন ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার পানিশমেন্ট দেয়া হয়। কিছু গার্ড অবশ্য চুপিচুপি তার বাঁধন খুলে দেয় এই শর্তে যে অফিসারের পায়ের আওয়াজ শুনলেই আবার বেঁধে ফেলবে। এমনকি নামাজ পড়ার সময়ও ওড়না ফেরানো হয়নি কারও কারও। ওড়না চাইলে বলা হতো- “তোদের নামাজ আল্লাহ এমনিই কবুল করবে না; ওড়না দিলেই কি, না দিলেই কি।” . . সবচেয়ে কষ্টকর যে জবানবন্দিটি আমি নিয়েছি তা হলো: একজন আপুর টর্চারের ভয়াবহতায় নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই মাসিক শুরু হয়ে যায়। তিনি নারী প্রহরীদের ব্যাপারটা জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাইলে তারা বলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুরুষ অফিসারদের জানানো বাধ্যতামূলক। অতঃপর পুরুষ অফিসাররা এসে তাকে ঘিরে ধরে হাসাহাসি করে অপমান করে।
এই ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশ..."

Post a Comment

0 Comments