Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ঈশ্বরদীর মাটি ও মানুষের গৌরব মুফতি নুরুল ইসলাম খান হাফিযাহুল্লাহ: জীবন ও কর্ম

 

ছবি:মুফতি নুরুল ইসলাম খান হাফিযাহুল্লাহ

মেধা, দাওয়াত ও আত্মশুদ্ধির এক অপূর্ব সমন্বয় করেছেন আমাদের প্রিয় আলেম, মুফতী নুরুল ইসলাম খাঁন কাসেমী (হাফিজাহুল্লাহ)।
তাঁর জীবনভর সাধনা, তালিম-তরবিয়ত ও ত্যাগ আজকের প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।

নিচে তুলে ধরা হলো তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী: নাম: নুরুল ইসলাম খাঁন জন্মস্থান: বাবুলচারা, ঈশ্বরদী, পাবনা পিতা: মুহা. শামসুদ্দীন খাঁন দাদা: মুহা. আলীমুদ্দীন খাঁন জন্ম তারিখ: ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৪ (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী)
শিক্ষাজীবন: শৈশবে মায়ের স্নেহময় কোলে আরবী-বাংলার হাতেখড়ি। প্রাথমিক কুরআন শিক্ষা গ্রামের মকতবে এবং স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নের পর ঈশ্বরদীর এস এম হাই স্কুল থেকে ১৯৯০ সালে মেট্রিক পাস। এরপর পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৪ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তাবলীগি সফর ও আত্মনিবেদনের পর ১৯৯৪ সালে বরিশালের ফয়জুল উলূম মাদরাসায় দ্বীনি শিক্ষার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। এরপর হাটহাজারী, দেওবন্দ ও হাপুড়ে ৯ বছর ইলমে দ্বীন অর্জনের মহান মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন। ২০০১ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস ও ২০০৩ সালে হাপুড় থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন।
বিশেষ সনদ ও ইজাযত: দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খে বুখারী (২য়), হযরত মাওলানা আব্দুল হক আ'জমী (রহ.)-এর নিকট থেকে ‘ছিহাহ সিত্তাহ’ ও পঞ্চাশোর্ধ হাদীস গ্রন্থের প্রথম হাদীস পাঠ করে ইজাযত লাভ করেন। এছাড়াও ‘হাদীসে মুসালসালাত’-এর সনদও লাভ করেন।
মেধা ও নাহুতে দক্ষতা: বিদ্যালয় ও মাদরাসা জীবনে সর্বদাই প্রথম সারিতে অবস্থান। বিশেষভাবে নাহু শাস্ত্রে দক্ষতার কারণে উস্তাদগণ প্রশংসায় বলেন, “মৌলবী নূরুল ইসলাম ইলমে নাহুর ইমাম বনে গেছে।”
উস্তাদ ও ইসলাহী শায়েখ: দেওবন্দ, হাটহাজারী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় মাশায়েখদের সান্নিধ্যে ছিলেন। তাঁর ইসলাহী শায়েখ: হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল মাতীন বিন হুসাইন ছাহেব (দা.বা.)
কর্মজীবন: ২০০৩ সাল থেকে জামি'আ ইসলামিয়া দারুল উলুম ঢাকা-তে শিক্ষকতা, ২০১১-২০১৮ পর্যন্ত নাজেমে দারুর ইকামা, এবং ২০২০ সাল থেকে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১০ সালে নিজ গ্রামে ‘বাবুলচারা দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা’ প্রতিষ্ঠা করে এখনো প্রিন্সিপালের দায়িত্বে আছেন। ২০১৪ সাল থেকে আনোয়ারা খাতুন মহিলা মাদরাসায় সহীহ বুখারী পড়াচ্ছেন। পূর্বে গাজিয়াবাদ, ইন্ডিয়ায় ও মিরপুর-১ লেকভিউ জামে মসজিদে খতীব ও ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দো‘আ কামনা: আল্লাহ তাআলা হযরতের ইলম ও খেদমতে বরকত দিন, নেক হায়াত দিন এবং তাঁর দ্বারা উম্মাহ উপকৃত হোক। آمين। পোস্টটি শেয়ার করে ঈশ্বরদীর এই গৌরবময় আলেমকে অন্যদের চিনিয়ে দিন।
সংকলোনে AH Amir Hamja

Post a Comment

0 Comments